🎓 GRE কী ও কেন দরকার?
GRE (Graduate Record Examination) একটি কম্পিউটারভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরীক্ষা, যা মূলত আমেরিকা, কানাডা সহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে হলে প্রয়োজন হয়। বিজ্ঞান ও আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বেশি দরকারি। বিজনেস স্কুলগুলো সাধারণত GMAT চায়, তবে অনেকেই এখন GRE-ও গ্রহণ করছে।
📌 GRE-এর গুরুত্ব
অনেক ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে শুধুমাত্র CGPA ও IELTS/TOEFL স্কোরেই ভর্তি হয়, কিন্তু আমেরিকা-কানাডার ইউনিভার্সিটিগুলো GRE চায় কারণ তারা বুঝে শুধু CGPA-তে যোগ্যতা বোঝা যায় না। CGPA কম হলেও GRE দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকে।
📚 পরীক্ষার গঠন
GRE তে তিনটি সেকশন থাকে:
- Analytical Writing – ২টি Essay, প্রতিটিতে ৩০ মিনিট
- Verbal Reasoning – শব্দজ্ঞান, রিডিং ও শুন্যস্থান পূরণ; দুই ধাপে, প্রতি ধাপে ২০টি প্রশ্ন, ৩০ মিনিট
- Quantitative Reasoning – গণিত ও অংক; দুই ধাপে, প্রতি ধাপে ২০টি প্রশ্ন, ৩৫ মিনিট
🧠 এটি Multi-Stage Test – অর্থাৎ, আপনার আগের পারফর্ম্যান্স অনুযায়ী পরবর্তী ধাপের প্রশ্ন কঠিন বা সহজ হবে।
🧮 Quant Section এ আসা প্রশ্নের ধরন:
- MCQ (একাধিক অপশন থেকে সঠিক উত্তর)
- Numeric Entry (উত্তর লিখতে হবে)
- Quantitative Comparison (দুটি মানের তুলনা করতে হবে)
📈 স্কোরিং
- Verbal: 170
- Quantitative: 170
- Analytical Writing: 6
ভালো স্কোর বলতে 315+ বোঝানো হয়। Analytical-এ অন্তত ৩+ পাওয়া উচিত।
🧪 Practice ও রেজিস্ট্রেশন
- ETS এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (www.gre.org) থেকে একাউন্ট খুলে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়
- ফি: $205 (ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট)
- প্রতি পরীক্ষায় ৪টি ভার্সিটিতে ফ্রি স্কোর পাঠানো যায়
- স্কোর ৫ বছর পর্যন্ত Valid
- বছরে সর্বোচ্চ ৫ বার দেয়া যায়, তবে ৩০ দিনের মধ্যে পুনরায় দেয়া যায় না।
📚 প্রস্তুতির জন্য বই ও টেস্ট লিংক:
- ETS Practice Test
- Important books for GRE preparation
মূল কথা: GRE হলো উচ্চশিক্ষায় যেতে চাইলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের একটি দারুণ সুযোগ। বিশেষ করে যদি CGPA একটু কম থাকে, তবে GRE হতে পারে আপনার academic redemption! 😊